রাফি মনসুর তার স্মৃতি থেকে স্মরণ করে বলেছিলেন যে, তাঁর চাচা, আক্কার তীর্থযাত্রীদের বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন এবং তিনি একটি তোতা পাখিকে “আল্লাহু আবহা” (ঈশ্বর সবচেয়ে মহিমান্বিত) বলতে শিখিয়েছিলেন, আর সেই পাখিটা আবদুল-বাহাকে উপহার হিসাবে প্রদান করেছিলেন, । যখন কেউ এই পাখিটার কাছাকাছি আসত, তখন তোতা পাখিটা আল্লাহু আবহা বলে অভিবাদন জানাতো। এই তোতা পাখিটা “বেগু, বেগু, বেগু, ইয়া বাহা বলতেও শিখেছিল।” এর মানে, “বল, বল, বল, হে বাহা।” যারা তোতাপাখিটাকে না দেখে তার কথা শুনতে পেত তারা মনে করত ঠিক একজন মানুষের কন্ঠ শুনছে।
একদিন আবদুল-বাহা আমার চাচাকে বললেন, মুহাম্মাদ হাসান, আগামীকাল তোতাপাখিটাকে এখানে নিয়ে আস, যেন আমি তাকে ‘আক্কার গভর্নরকে উপহার হিসাবে প্রদান করতে পারি। আমার চাচা তার আগের দিন রাতেই তোতা পাখিটাকে প্রিয় মাষ্টারের বাড়ীতে নিয়ে এল। তোতা পাখির খাঁচাটি হল রুমের জানালার পার্শ্বে রাখা হল।
খুব ভোরে যখন সবাই ঘুমাচ্ছিল তখন আবদুল-বাহা প্রার্থনা,ধ্যান অন্তে সেই বাড়ির উঠানে হাঁটছিলেন। যখন তিনি তোতা পাখিটার কাছাকাছি আসলেন, তখন তোতাপাখিটা বলে উঠল, ’বল, বল’’
এই অপ্রত্যাশিত ঘটনা আব্দুল বাহাকে আনন্দিত করল।
তোতা পাখিটা আবার বললো, বল, বল।
আবদুল-বাহা তার কাছে গিয়ে বললেন, আমি কি বলব?
পাখিটা বলল, ‘বল, ইয়া বাহা ‘ (হে বাহা )। এই ঘটনা আব্দুল বাহাকে অত্যন্ত সন্তুষ্ট করল।
সেই দিনই পরে আবদুল-বাহা আমার চাচাকে বললেন, “ওহে, হাসান, আজ তোতাপাখিটা গভর্নরের কাছে যাবার হাত থেকে নিজেই নিজেকে বাঁচিয়েছে। এই তোতাপাখিটা তার জীবন বাঁচিয়েছে, কারণ সে আমাকে বলেছে, ‘বেগু, বেগু!’ (বলুন, বলুন) এবং আমি বললাম, আমি কী বলব? পাখিটা বলল, ‘বেগু, ইয়া বাহা ! (বলুন হে বাহা) । তিনি বললেন, পাখিটা অনর্গল ও সুন্দরভাবে এটা বলল। আব্দুল বাহা বললেন, ”তীর্থযাত্রীদের জন্য তাকে ফিরিয়ে নিয়ে যাও। আমি তাকে মেয়রের কাছে পাঠাতে চাই না। ”
অনেক পরে যখন তোতাপাখিটা মারা যায়, তখন আমার চাচা তার পালক যত্ন করে রাখেন এবং সেই পালকে তার সুন্দর হাতের লেখা রয়েছে, ‘এইটা সেই তোতাপাখির পালক যেটা আব্দুল বাহার ছিল। যার কথা প্রিয় মাস্টার বহুবার উল্লেখ করেছেন, এবং তোতাপাখির অনর্গল কথা বলার প্রসংশা করেছেন। ‘ (বাহাই সংবাদ থেকে, এপ্রিল ১৯৭৪)