একদিন সারা গায়ে কালি মাখানো অবস্থায় হতাশ একটি ছোট ইহুদি মেয়েকে মাস্টারের কাছে আনা হল। সে কাঁদতে কাঁদতে তার দুঃখের কাহিনী মাষ্টারের কাছে বলতে থাকলো: তিন বছর আগে থেকে অন্যায়ভাবে তার ভাইকে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে – তার মুক্তি পেতে আরও চার বছর দেরী আছে; তার বাবা -মা সব সময় হতাশায় ভুগছেন; তার ভগ্নিপতি, যে তাদের সাহায্য করত সে, কয়েকদিন আগে মারা গেছে। তার বক্তব্য হলো সে যত বেশি ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস ন্যস্ত করেছে তার বিপদ ততই বেশী হয়েছে। সে অভিযোগ করলো…… আমার মা সব সময় গীতসংহিতা পড়েন; ঈশ্বর যে তাকে এভাবে পরিত্যাগ করবে, সেটার যোগ্য তিনি নন । আমি নিজে গীতসংহিতা পড়ি- প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে আমি গীতসংহিতার ৯১তম এবং ২৩ তম স্তবক পাঠ করি।
আবদুল-বাহা’ তাকে সান্ত্বনা দিলেন এবং উপদেশ দেবার পর বললেন, ‘প্রার্থনা করা মানে গীতসংহিত পাঠ করা নয়। প্রার্থনা করা মানে হলো ঈশ্বরের উপর ভরসা করা এবং সব কিছুই তাঁর প্রতি সমর্পন করা । বিনীত হও, তাহলে সবকিছু তোমার জন্য পরিবর্তিত হয়ে যাবে। তোমার পরিবারকে ঈশ্বরের হাতে তুলে দাও। ঈশ্বরের ইচ্ছাকে ভালবাস। সমুদ্র শক্তিশালী জাহাজকে পরাজিত করতে পারে না, – তারা ঢেউয়ের উপরে উঠে। এখন ক্ষুব্ধ না হয়ে, একটি শক্তিশালী জাহাজ হও, ‘[284]